বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। حامدا ومصليا ومسلما، أما بعد প্রতিষ্ঠা প্রেক্ষাপট পবিত্র মক্কানগরীর হেরা গুহা থেকে সুচনা হয় ইসলামী শিক্ষার ধারা। ওখানে ফেরেশতার মাধ্যমে আল্লাহপাক তার প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কুরআন শিক্ষা দিলেন এবং পরবর্তীতে স্বয়ং শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সা. নব্য মুসলিমদের শিক্ষা দিতে শুরু করলেন। তিনি বলেছেন, আমাকে শিক্ষক করে প্রেরণ করা হয়েছে। মক্কার জীবনে অত্যন্ত প্রতিকুল পরিবেশে প্রায় ১৩টি কেন্দ্রে ইসলামী শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। মদীনায় হিজরত করে আসার পর মসজিদে নববীর সুফ্ফা নামক স্থানে ইসলামী শিক্ষার মূলকেন্দ্র স্থাপন করেন। এ পবিত্র স্থান থেকে বিশ্বজুড়ে ইসলামী শিক্ষার শ্রোতধারা ছড়িয়ে পড়ে। খুলাফায়ে রাশিদীনের প্রথম যুগ থেকে তুর্কী খেলাফতের শেষ আমল পর্যন্ত মুসলিম বিশ্বে ইসলামী শিক্ষাই ছিল একমাত্র শিক্ষাব্যবস্থা এ শিক্ষায় শিক্ষিতরা-ই ছিল গুণী ও আদর্শবান। কবির ভাষায় ভূগোল ও খগোল জ্যোতিষ শাস্ত্রকরিলা যাহারা জগতে দান,বীজ গণিতের জনক যাহারাসৃজিলা যাহার ত্রিকোণ ও মানসেজাতি আমরা তুচ্ছ নাহিকোবিশ্ব পুজ্য মুসলমান ১৩০০ ঈসায়ী সনের প্রথম দিকে সুলতান কুতবুদ্দীন আইবেকের শাসনামলে ভারত উপমহাদেশে কওমী মাদরাসা শিক্ষার সূচনা হয়। মুলতানের গভর্নর নাসির উদ্দীন কুবাচাহ মুলতানের উচ্ছ নামক স্থানে মাদরাসায়ে ফিরোজী নামে একটি কওমী মাদরাসা স্থাপন করেন। পরবর্তীতে সমগ্র ভাতরবর্ষে স্থানে স্থানে অসংখ্য অগণিত কওমি মাদরাসা স্থাপন করা হয়। ঐতিহাসিক সত্য, বৃটিশ শাসনামলের পূর্বে কেবল বাংলার ভূখণ্ডে ৮০,০০০ (আশি হাজার) কওমি মাদরাসা ছিল।ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার জ্যোতির্ময় সূর্য অস্তমিত হওয়ায় সমগ্র ভারতবর্ষে বৃটিশ বেনিয়াদের আধিপত্য কায়েম হয়। ধর্মীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষা-দীক্ষার ক্ষেত্রে উপমহাদেশের মুসলিম সমাজ প্রায় পঙ্গু হয়ে পড়ে। ইংরেজ সরকার ষড়যন্ত্র করে গোটা উপমহাদেশের মসজিদ, মাদরাসা ও খানকাহ সমূহের তাবৎ ওয়াকফ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। ফলে এসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ …