শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফি (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) ইনতেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। তিন ছিলেন উপমহাদেশের শীর্ষস্থানীয় একজন আলেমে দ্বীন। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর যাবত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কওমি মাদরাসা দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মহাপরিচালক ও শায়খুল হাদিস হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তাঁর হাত ধরেই কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদীসের মাস্টার্স সমমানের স্বীকৃতি বাস্তবায়ন হয়েছিলো। কওমি মাদরাসাসমূহের সর্বোচ্চ শিক্ষাবোর্ড ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর চেয়ারম্যান ছিলেন প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই। বিভিন্ন ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অনেক কিতাবাদিও তিনি রচনা করেছেন। বাংলাদেশে মুসলিম সমাজের জাগরণে শক্তিশালী একজন রাহবার ছিলেন তিনি। সর্বজন-বরেণ্য শতবর্ষী এই মহান মনীষীর ইনতেকালে বাংলাদেশের মুসলিম সমাজ তাদের অন্যতম একজন অভিভাবক কে হারালো। আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন এবং জান্নাতের উঁচু মাকামে আসীন করুন। তাঁর পরিবার-পরিজনকে সবরে জামীলের তাওফিক দিন। আমাদেরকে তাঁর যোগ্য উত্তরসূরী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন। আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশ-এর অন্তর্ভুক্ত সকল মাদরাসা তাঁর মাগফিরাতের জন্য বিশেষ দু‘আর আয়োজন করেছে। দেশের সকল উলামায়ে কেরাম, মাসরাসার ছাত্র-শিক্ষক এবং ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের নিকট এদারার পক্ষ হতে বিশেষভাবে মরহুমের জন্য দু‘আর আবেদন করা হচ্ছে। শোকসন্তপ্ত: সভাপতি মাও. শায়খ জিয়া উদ্দীন, সিনিয়র সহ.সভাপতি ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মাও. শায়খ মুহিব্বুল হক, সহ.সভাপতি মুফতি শফিকুল আহাদ, মহাসচিব মাও. আব্দুল বছীর, সহ.মহাসচিব মাও. হাফিয মুহসিন আহমদ, সহ.পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাও. সৈয়দ আব্দুর রহমান, রচনা সম্পাদক মাও. হাফিয ফখরুযযামান, প্রকাশনা সম্পাদক মাও. এনামুল হক, জেলা নাযিম মাও. মুশতাক আহমদ খাঁন, মাও. আব্দুল গফফার, মাও. আব্দুল বাসিত, মাও. আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
আপডেট
September, 2020
August, 2020
-
11 August
সনদ ও নম্বর পত্রের আবেদন ফরম
জরুরি জ্ঞাতব্য: আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের কয়েক মাসের মধ্যেই সনদ প্রস্তুত করে বার্ষিক সাধারণ সভায় বিতরণ করা হয়ে থাকে। মাদরাসার প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত হয়ে অথবা পরবর্তীতে অফিসে এসে নিজ প্রতিষ্ঠানের সকল সনদ গ্রহণ করবেন, অতঃপর সকল পরীক্ষার্থীর কাছে তা হস্তান্তর করবেন। মাদরাসা থেকে সনদ গ্রহণের পর যদি কারো সনদ হারিয়ে যায় বা সনদে কোনো সংশোধনীর প্রয়োজন হয় তাহলে নিচে প্রদত্ত ফরমের নির্দেশনা অনুযায়ী অফিস থেকে পুনরায় সনদ উত্তোলন করা যাবে।
-
11 August
২০২০ সালের হিফয বিভাগের মাদ্রাসা ওয়ারী ফলাফল
২০২০ সালের হিফয বিভাগের এক নজরে ফলাফল ২০২০ সালের হিফয বিভাগের মাদ্রাসা ওয়ারী ফলাফল
June, 2019
-
7 June
ইলহাক ওয়ারী ফলাফল
একনজরে ১৪৪০ হি. সনের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল ইলহাক ওয়ারী ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে, কাঙ্খিত রেজাল্ট জানতে নিম্মের ফাইলটি ওপেন করুন অথবা ডাউনলোড করে PDF Reader ওপেন করুন। বাম সাইট থেকে মারহালা সিলেক্ট করুন, অতঃপর সেন্টার সিলেক্ট করলে মাদরাসার ইলহাক নাম্বার দেখতে পাবেন, ইলহাক নাম্বারে ক্লিক করলে আপনার মাদরাসার ফলাফল দেখতে পারবেন। ইলহাক ওয়ারী ফলাফল 1440
April, 2019
-
21 April
পারচা সানি নজর
পারচা সানি নজরের নিয়মাবলি ১. প্রাপ্ত নম্বরের বেলায় কোনো অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট মাদরাসার মুহতামিম সাহেবের মাধ্যমে নাযিমে ইমতেহান বরাবরে পারচা সানি নজরের আবেদন করতে পারবেন। ২. আবেদনপত্রে ছাত্রের নাম, কিতাবের নাম, রোল নম্বর ও প্রাপ্ত নম্বর একই তালিকায় ইমতেহান বিভাগে জমা দিতে হবে। পৃথক পৃথকভাবে আবেদন গ্রহণ করা হবে না। ৩. পারচা প্রতি নিম্ন হারে ফি প্রদান করতে হবে : মারহালায়ে তাকমিল, ফযিলত, সানোবিয়্যাহ উলয়া, সানোবিয়্যাহ আম্মাহ ৮০/- (আশি টাকা) ও মারহালায়ে মুতাওয়াসসিতাহ ও ইবতেদাইয়্যাহ ৫০/- (পঞ্চাশ টাকা)। ৪. সানি নজরের আবেদন ২০শে শাওয়ালের মধ্যে করতে হবে। পরীক্ষা বিভাগ আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশ
-
21 April
মাও: সা’দ, এদারা
মাওলানা সা’দ সাহেব সম্পর্কে আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশ- এর অবস্থান। মাওলানা সা’দ সাহেবের বিতর্কিত কথা-বার্তার ফলে সারা বিশে^র কওমি মাদরাসাসমূহের সুতিকাগার দারুল উলূম দেওবন্দ তার সম্পর্কে আপন অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। এরই আলোকে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামও তাদের অবস্থান পরিস্কার করেছেন। আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশ যেহেতু দারুল উলূম দেওবন্দের চিন্তাধারা ও নযরিয়াকে অনুস্বরণ করে থাকে তাই আযাদ দ্বীনী এদারার অবস্থানও মাওলানা সা’দ সাহেব সম্পর্কে দেওবন্দের ন্যায়। এরই আলোকে গত ১০ জুলাই রোজ মঙ্গলবার সিলেটের তাবলীগ জামাতের মারকায খোজারখলায় অনুষ্ঠিত উলামায়ে কেরাম, খোজারখলা মহল্লাবাসী, তাবলীগ জামাতের শুরাও সাথীদের এক যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে “আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশ” এর সদর মাওলানা শায়খ জিয়াউদ্দীন, সিনিয়র নাইবে সদর শায়খুল হাদীস মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী, শায়খ মাওলানা শফিকুল হক আমকুনী- মুহাতামিম সোবহানীঘাট মাদরাসা, শায়খ মাওলানা আলিমুদ্দিন- শায়খুল হাদীস দারুল উলূম কানাইঘাট, মাওলানা মুফতি আবুল কালাম যাকারিয়া- মুহতামিম দরগাহ মাদরাসা, মাওলানা মুহিউল ইসলাম বুরহান- মুহতামিম রেঙ্গা মাদরাসা, হাফিয মাওলানা মুহসিন আহমদ- নায়বে নাযিমে উমূমী আযাদ দ্বীনী এদারা, মাওলানা মুশতাক আহমদ খান- নাযিমে তানযিম আযাদ দ্বীনী এদারা, হাফিয মাওলানা মজদুদ্দিন আহমদ- মুহতামিম ভার্থখলা মাদরাসা, মাওলানা শিহাব আহমদ- সভাপতি ইমাম সমিতি সিলেট সহ শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন। উক্ত বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, সিলেটের তাবলীগ জামাতের মারকায খোজারখলা ও দেওবন্দের নির্দেশনা মান্যকারী কাকরাইলের উলামা শুরাগণ তথা মাওলানা যুবায়ের আহমদ ও মাওলানা রবিউল হক গংদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত হবে। মাওলানা সা’দ সাহেবের অনুসারী ওয়াসিফুল ইসলাম ও খান শাহাবুদ্দীন গংদের কোনো নির্দেশনা চলবে না। অতএব, এমর্মে এদারার অন্তর্ভূক্ত সকল মাদরাসার দায়িত্বশীলবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষন করা যাচ্ছে যে, মাওলানা সা’দ সাহেবের অনুসারী কাকরাইলের ওয়াসিফুল ইসলাম ও খান …
-
21 April
এদারা পরিচিতি
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। حامدا ومصليا ومسلما، أما بعد প্রতিষ্ঠা প্রেক্ষাপট পবিত্র মক্কানগরীর হেরা গুহা থেকে সুচনা হয় ইসলামী শিক্ষার ধারা। ওখানে ফেরেশতার মাধ্যমে আল্লাহপাক তার প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কুরআন শিক্ষা দিলেন এবং পরবর্তীতে স্বয়ং শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সা. নব্য মুসলিমদের শিক্ষা দিতে শুরু করলেন। তিনি বলেছেন, আমাকে শিক্ষক করে প্রেরণ করা হয়েছে। মক্কার জীবনে অত্যন্ত প্রতিকুল পরিবেশে প্রায় ১৩টি কেন্দ্রে ইসলামী শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। মদীনায় হিজরত করে আসার পর মসজিদে নববীর সুফ্ফা নামক স্থানে ইসলামী শিক্ষার মূলকেন্দ্র স্থাপন করেন। এ পবিত্র স্থান থেকে বিশ্বজুড়ে ইসলামী শিক্ষার শ্রোতধারা ছড়িয়ে পড়ে। খুলাফায়ে রাশিদীনের প্রথম যুগ থেকে তুর্কী খেলাফতের শেষ আমল পর্যন্ত মুসলিম বিশ্বে ইসলামী শিক্ষাই ছিল একমাত্র শিক্ষাব্যবস্থা এ শিক্ষায় শিক্ষিতরা-ই ছিল গুণী ও আদর্শবান। কবির ভাষায় ভূগোল ও খগোল জ্যোতিষ শাস্ত্রকরিলা যাহারা জগতে দান,বীজ গণিতের জনক যাহারাসৃজিলা যাহার ত্রিকোণ ও মানসেজাতি আমরা তুচ্ছ নাহিকোবিশ্ব পুজ্য মুসলমান ১৩০০ ঈসায়ী সনের প্রথম দিকে সুলতান কুতবুদ্দীন আইবেকের শাসনামলে ভারত উপমহাদেশে কওমী মাদরাসা শিক্ষার সূচনা হয়। মুলতানের গভর্নর নাসির উদ্দীন কুবাচাহ মুলতানের উচ্ছ নামক স্থানে মাদরাসায়ে ফিরোজী নামে একটি কওমী মাদরাসা স্থাপন করেন। পরবর্তীতে সমগ্র ভাতরবর্ষে স্থানে স্থানে অসংখ্য অগণিত কওমি মাদরাসা স্থাপন করা হয়। ঐতিহাসিক সত্য, বৃটিশ শাসনামলের পূর্বে কেবল বাংলার ভূখণ্ডে ৮০,০০০ (আশি হাজার) কওমি মাদরাসা ছিল।ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার জ্যোতির্ময় সূর্য অস্তমিত হওয়ায় সমগ্র ভারতবর্ষে বৃটিশ বেনিয়াদের আধিপত্য কায়েম হয়। ধর্মীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষা-দীক্ষার ক্ষেত্রে উপমহাদেশের মুসলিম সমাজ প্রায় পঙ্গু হয়ে পড়ে। ইংরেজ সরকার ষড়যন্ত্র করে গোটা উপমহাদেশের মসজিদ, মাদরাসা ও খানকাহ সমূহের তাবৎ ওয়াকফ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। ফলে এসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ …
-
21 April
মাদরাসা অডিটকরণ
মাদরাসার হিসাব অডিটকরণ পদ্ধতি ১. প্রতিটি মাদরাসাকে প্রথমে মাদরাসা কমিটির অডিট গ্রুপ দ্বারা হিসাব অডিট করিয়ে নিতে হবে। তারপর সরকার অনুমোদিত চার্টার্ড একাউন্টেন্ট কোম্পানীর দ্বারাও অডিট করিয়ে নিতে হবে। ২. মাদরাসার স্থাবর-অস্থাবর যাবতীয় সম্পত্তি চার্টার্ড একাউন্টেন্টস্ কোম্পানী দ্বারা প্রতি বছর অডিট করিয়ে নিতে হবে। ৩. প্রতি বছর এদারার পক্ষ থেকে এদারাভূক্ত মাদরাসা সমূহের হিসাব অডিট করার জন্য একটি চার্টার্ড কোম্পানীকে নিয়োগ দান করা হয়। এ কোম্পানী হিসাব অডিট করার সাথে হিসাব রক্ষকগণকে হিসাব রক্ষণ পদ্ধতিরও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। ৪. নির্ধারিত অডিট ফি (প্রতি আর্থিক / সাল-এর জন্য) (ক) তাকমীল দাওরায়ে হাদীস ২০০০/- (খ) ফযীলত (মেশকাত শরীফ) ১৮০০/- (গ) শরহুল বিকায়া ১৫০০/- (ঘ) শরহে জামী ও কাফিয়া ১২০০/- (ঙ) নাহভেমীর ১০০০/- (চ) প্রাইমারী ও হিফয ৮০০/- (ছ) নিয়মিত মক্তব ৬০০/- (জ) ইলমুল কিরাআত ৮০০/- অনুর্ধ ১০ লক্ষ টাকার হিসাব অডিটের জন্য উপরোক্ত হার কার্যকর হবে। আর ১০ লক্ষাধিক টাকার জন্য অডিটের নিকট আলোচনা সাপেক্ষে অডিট ফি দিতে হবে। ৫. অডিট প্রতিবেদনের পাঁচটি অনুলিপি বাংলা ভাষায় প্রস্তুত করে একটি অনুলিপি এদারার অডিট বিভাগে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র গ্রহণ করতঃ অডিটর তার সত্যায়িত ফটোকপি রেজিষ্টার্ড ডাক যোগে মাদরাসায় প্রেরণ করবেন এবং প্রাপ্তি স্বীকার পত্রের মূল কপিসহ তিনটি অডিট রিপোর্ট অবশ্যই মাদরাসাকে প্রেরণ করবেন। অডিট রিপোর্ট মাদরাসায় প্রেরণের পূর্বে অডিট ফি দাবী করা যাবে না। ৬. সিডিউল পত্রের সকল শর্ত প্রতিপালন করে এবং মাদরাসায় অডিটরকে স্বয়ং অথবা আবেদন পত্রে উল্লিখিত এবং পত্র দফতর কর্তৃক অনুমোদিত অডিট সম্পাদনকারীদের উপস্থিত হয়ে অডিট কাজ সম্পন্ন করতে হবে। অত্র দফতর কর্তৃক অনুমোদিত অডিট সম্পাদনকারীদের সত্যায়িত ছবি অডিটরকে মাদরাসা কর্র্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করতে হবে। কোন ফার্ম / অডিটর সংযুক্ত …